1. sraban1982@gmail.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
  2. info@www.pollybarta24.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০২:২৩ অপরাহ্ন

খবরের পেছনের খবর

সুমন মাহমুদ শেখ
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
  • ৫ বার পড়া হয়েছে

সকালে ফেসবুক ওপেন করেই সর্বপ্রথম যে পোস্টটি দেখলাম, তা হলো ওই ধর্ষিতা গৃহবধূর পতাকা মোড়ানো শরীর। তারপর কিছু ভিডিও দেখলাম। যা আপত্তিকর ও হৃদয়বিদারক। সকাল সকাল মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।

অনেক আগে ২০১৬ সালে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে তনু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার কথা মনে পড়ে গেলো। তখনও আমি সাধ্যমতো প্রতিবাদ করেছিলাম, অনেক পোস্ট করেছিলাম। তনু হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে একটি কবিতা লিখেছিলাম, সেই কবিতার একটা পংক্তি দিয়ে একটা পোস্ট করলাম।
তারপর কুমিল্লায় একজন কবি ও সাংবাদিক বন্ধুর সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার বিশদ বিবরণ জানার চেষ্টা করলাম। ইতিমধ্যে কুমিল্লার একজন ফেসবুক ফ্রেন্ডের টাইমলাইন থেকেও কিছু অজানা তথ্য জানলাম। উনিও একজন সচেতন রাজনৈতিক কর্মী ও লেখক। এভাবে বেশ কিছু উৎস থেকে জানার পর যা মনে হলো-

খবরের পেছনের খবর:

ধর্ষক ফজর আলীর সাথে ওই গৃহবধূর অনৈতিক পরকিয়া সম্পর্ক ছিল। গৃহবধূর স্বামী একজন প্রবাসী। তাদের পরকিয়া সম্পর্ক পুরোনো এবং প্রতিবেশীরা অনেকেই অবগত ছিলেন। প্রভাবশালী ফজর আলীর ভয়ে কেউ কিছু বলতো না। তবে হাতেনাতে ধরার সুযোগের অপেক্ষায় ছিলো অনেকেই। মহল্লার কিছু উঠতি বয়সের অতি উৎসাহী তরুণদের এ অপরিণামদর্শীতায় এ কর্মকাণ্ডের অবতারণা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কয়েকদিন আগে। ওরা কয়েকজন মিলে ফজর আলী ও গৃহবধূকে আপত্তিকর অবস্থায় পেয়ে ফজর আলীকে বেধড়ক মারপিট করে। এ পর্যন্ত যথেষ্ট ছিল। কিন্তু ওরা ওই গৃহবধূকে জোর জবরদস্তি করে উলঙ্গ করে ভিডিও ধারণ করে।
ঘটনা রফাদফা করার প্রক্রিয়া চলছিল। দরকষাকষি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে বনিবনা হয়নি। এক পর্যায়ে কেউ একজন এই ভিডিও নেটে আপলোড দিয়ে দেয়। তা রাতারাতি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে চারিদিকে। চ্যানেল 24 এর নিউজে দেখলাম মূল আসামি ফজর আলী গ্রেফতার হয়েছে। যারা ওই মহিলার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে নেটে আপলোড দিয়েছে তাদেরকেও আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানাই। পাশাপাশি ওই গৃহবধূও একজন অপরাধী। সে সনাতন ধর্মাবলম্বী একজন বিবাহিত গৃহবধূ হয়েও ভিন্ন ধর্মের আরেকজন পরপুরুষের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে তার সংসারকে অশান্তির আগুনে পুড়িয়েছে। সুতরাং ওই গৃহবধূও একজন অপরাধী। তাকেও আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাই।

এখন শুরু হয়েছে ঘটনার রাজনৈতিক রং মাখামাখি। গ্রেফতারকৃত ফজর আলী আওয়ামীলীগের কর্মী না কি বিএনপির কর্মী। এমন জঘন্য ঘটনায় রাজনৈতিক মাখামাখি আমাদের কাম্য নয়। এতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় না। বরং অপরাধীরা অর্থ ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মুক্ত হয়ে যায়। এভাবে সমাজে অপরাধের মাত্রা ও অপরাধীর সংখ্যা দিনদিন বেড়েই চলছে। মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আইন ও বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
ধর্ষকের পরিচয় একটাই, সে মানুষ নামের একটা জানোয়ার। তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় তো দূরের কথা ওর কোন পারিবারিক পরিচয়কেও আমলে আনা উচিৎ নয়। ধর্ষণের শাস্তি দ্রুততার সহিত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। ধর্ষণের মতো সামাজিক ব্যাধির হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে ধর্ষণের বিচার ও শাস্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিৎ।

সুমন মাহমুদ শেখ
কবি ও সাংবাদিক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট