বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্রতিনিধি-জামালপুরের বকশীগঞ্জে মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রদলের সভাপতি সহ ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসরাফিল আকন্দ সহ ৬ জনের নামে ২৮ এপ্রিল (সোমবার) মামলা দায়ের করেন ওই মাদরাসা শিক্ষার্থীর বাবা। ওই মামলায় বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাকে হন্য হয়ে খুঁজছে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের পুরান বাট্টাজোড় গ্রামের শিক্ষার্থী ও বাট্টাজোড় মীর কামাল হোসেন দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী (১৪) গত ২৭ এপ্রিল অপহরণ করা হয়।
ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের মাঝ গেদরা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহীন ও তার সহযোগীদের নেতৃত্বে ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসার সামনে থেকে অপহরণ করা হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। এঘটনা জানাজানি হলে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ, তার ছেলে বাট্টাজোড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ইসরাফিল আকন্দ বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং অপহৃত শিক্ষার্থীর বাবাকে মীমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। তিনি মীমাংসায় রাজী না হলে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে মারপিট করেন তাঁরা। নিজের মেয়েকে অপহরণের ঘটনায় ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) ওই শিক্ষার্থীর বাবা বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন।
ভিকটিম শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দ, ছাত্রদল সভাপতি ইসরাফিল আকন্দ, মূল হোতা শাহীন মিয়া সহ ৬ জন ও অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এঘটনায় অভিযুক্ত বাট্টাজোড় ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লিটন আকন্দকে মোবাইলে ফোন করা হলে গণমাধ্যম কর্মীর পরিচয় পেয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, মাদরাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের ঘটনায় মামলা রুজু হয়েছে। ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।