সুমন মাহমুদ শেখ-মোহনগঞ্জ উপজেলার তিন নং তেতুলিয়া ইউনিয়নের জৈনপুর গ্রামের কিছু মৎস্য শিকারী কংস নদে জাল ফেলে ধর্মপাশা টু সুনামগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চকে প্রায় ৪০ মিনিট আটকে রাখে।
ঐ যাত্রীবাহী লঞ্চে এমন অনেক যাত্রী ছিল যারা সুনামগঞ্জ সদরে বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে যাচ্ছিল। কেউ কোর্টে যাচ্ছিল মোকদ্দমার কাজে, কেউ জরুরি চিকিৎসা নিতে, এমন বহুবিদ জরুরি কাজে এ অঞ্চলের মানুষ জেলা সদরে যাচ্ছিল। কংস একটা সরু নদ। এমতাবস্থায় সমগ্র কংস নদে আড়াআড়িভাবে জাল ফেলে এভাবে যাত্রী হয়রানি করা কতটুকু আইনসিদ্ধ? লঞ্চে অবস্থানরত যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে প্রশাসনের কাছে যথাযথ প্রতিকার চাওয়ার পরামর্শ দেয়। সুনামগঞ্জগামী মাহফুজ এক্সপ্রেস লঞ্চের একজন যাত্রী মাহাদী হাসান বলেন- “আমি সুনামগঞ্জ যাবো জরুরি কাজে কিন্তু পথিমধ্যে আমার অনেকটা সময় নষ্ট করে দিয়েছে এই অবরুদ্ধ অবস্থা।”
এ ব্যাপারে মাহফুজ এক্সপ্রেস লঞ্চের সারেং মাইজুদ্দীন বলেন- “ওরা প্রায় সময়ই নদীতে জাল ফেলে আমাদের পথ অবরুদ্ধ করে রাখে। জাল সাইড করতে বললে উল্টো আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমরা অতিষ্ঠ হয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেছিলাম। প্রশাসন একবার অভিযানের পর কিছু দিন নিরাপদে চলাচল করেছি কিন্তু ইদানিং আবার এসব শুরু করেছে। আমরা অচিরেই লিখিতভাবে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইবো।”
উল্লেখ্য, আজকে তাদেরকে সাইড দিতে বললে, লঞ্চের স্টাফদের নানা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। তারা বলে জাল টানা শেষ হলে তারপর যাবে। অবশেষে ৪০ মিনিট পর তাদের জাল টানা শেষ হলে লঞ্চটি সাইড নিয়ে চলে আসে। এ সময় যাত্রীগণ অস্থির হয়ে লঞ্চের স্টাফদের সাথে রাগারাগি করেছে। কিন্তু লঞ্চের স্টাফগণ অসহায়ের মতো শুধু যাত্রীদের রাগারাগি হজম করা ছাড়া কিছুই করার করার ছিল না। চলমান মাহফুজ এক্সপ্রেস লঞ্চের আরেকজন যাত্রী জয়নব বিবি। পেশায় তিনি একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি বলেন – নদীতে এভাবে জাল ফেলে যাত্রীবাহী লঞ্চ, নৌকা ও পণ্যবাহী নৌকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা সম্পূর্ণ অন্যায় ও অরাজকতা। আমরা মোহনগঞ্জ ও ধর্মপাশা উভয় উপজেলা প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাই।