নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর: শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃতিসন্তান তরুণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত চুড়ান্ত ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি এ যোগ্যতা অর্জন করেন।
তিনি নকলা পৌরসভার কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার এ.কে.এম মহিদুল ইসলাম ও ফরিদা নাহার দম্পতির দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে সবার ছোট সন্তান। ২০১৮ সালে নিম্ন আদালতের এবং ২০২৫ সালের চলতি মাসে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন এই তরুণ আইনজীবী।
অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন আইন বিভাগে পড়ালেখা শেষে করে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চুড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিম্ন আদালতের আইনজীবী হিসেবে সনদ প্রাপ্ত হন। পরে শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশায় আত্ম নিয়োগ করেন তিনি। চলতি বছর উচ্চ আদালতের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেন।
তিনি ভূমি, দেওয়ানি ও ফৌজদারি, পারিবারিক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, রিট ও সাংবিধানিক, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, অর্থঋণ ও চেকসংক্রান্ত মামলা পরিচালনা করে থাকেন। বিশেষ করে ফৌজদারি মামলায় সুষ্ঠু বিচার প্রার্থীদের পক্ষে সততা ও নিষ্ঠার সহিত মোকাবেলার মাধ্যমে এক প্রকার মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করেন তিনি। তরুণ আইনজীবী হিসেবে নকলার অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন জেলা উপজেলাবাসীর কাছে একটি সুপরিচিত নাম। পাশাপাশি তিনি নিজের অবস্থান থেকে বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা ও আইন বিষয়ে গবেষণা সংশ্লিষ্ট কাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছেন। শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন তরুণ এ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন।
তিনি প্রাথমিক শিক্ষাস্তর শেষে নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৭ সালে এস.এস.সি এবং ময়মনসিংহের এ্যাডভান্স রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে ২০০৯ সালের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত উত্তীর্ণ হন। এরপরে ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন বিভাগ ভর্তি হন। সেখান থেকেই এল.এল.বি (সম্মান) এবং এল.এল.এম (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রী সফলভাবে সম্পন্ন করেন ফাহিম হাসনাঈন। বিভিন্ন সময় আইন বিভাগের উপর শর্ট কোর্স তথা বিভিন্ন বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ কোর্স সফলতার সহিত সম্পন্ন করেছেন তিনি।