সুমন মাহমুদ শেখ, জেলা প্রতিনিধি, নেত্রকোনা
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর এলাকায় ঊষা আক্তার (১৭) নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ফাঁসিতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ওই শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩ :০ টায় নিজ গ্রামের বাড়িতে কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত বুধবার রাত ৮ টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌর শহরের টেঙ্গাপাড়া এলাকার নিজ বাসভবনের একটি কক্ষে ধর্নার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত উষা আক্তার নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের আনিসুর রহমানের মেয়ে। সে বারহাট্টা উপজেলা সদরের সিকেবি পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। মেয়ের প্রাইভেট পড়ার সুবিধার্থে গত চার বছর যাবত পার্শ্ববর্তী মোহনগঞ্জ পৌরশহরের টেঙ্গাপাড়া এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছেন বাবা আনিসুর রহমান। পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ঊষা আক্তার নিজ কক্ষে পড়তে বসাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করছিল। এ বিষয়টি তার বাবা আনিসুর রহমানের নজরে পড়লে তিনি মেয়ের হাত থেকে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসেন। পাশাপাশি পড়ায় আরো মনযোগী হতে মেয়েকে উপদেশ দেন। এ অবস্থায় মেয়ে উষা আক্তার বাবার সাথে অভিমান করে কিছু না বলেই বিছানায় শুয়ে থাকে। এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ তার কক্ষ থেকে একটি শব্দ আসে। শব্দ শুনে পরিবারের লোকজন ওই কক্ষে গিয়ে উষা আক্তারকে ওই কক্ষের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখেন। তখন তারা দ্রুত সেখানে থেকে তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ঊষা আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। মোহনগঞ্জ থানার এসআই রবিউল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় এ প্রতিবেদককে জানান, নিহত ওই শিক্ষার্থীর লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতের বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।