নিজস্ব প্রতিনিধিঃ-বাড়িতে ধুমধাম বিয়ের আয়োজন, বিয়ের গেট, প্যান্ডেল থেকে শুরু করে আছে শতাধিক মানুষের ভূরিভোজের আয়োজন দেখে বোঝার উপায় নেই যার জন্য এরকম ধুমধাম আয়োজন সেই কনের বাবা একজন অসহায় হতদরিদ্র রিকশাচালক। অসহায় দরিদ্র বাবা মায়ের কন্যার এমন ধুমধাম বিয়ের আয়োজন করেছেন নীলফামারীর সৈয়দপুরের হৃদয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ) দুপুরে সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ধুমধাম করে বিয়ের আয়োজনের মধ্য দিয়ে পাত্রস্থ করেন এক অসহায় মেয়েকে। সন্ধ্যায় শহরের উপকন্ঠে কামারপুকুর নিজ এলাকায় এই বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিয়ে সম্পন্ন হওয়া কন্যা রেখা আক্তার রিকশাচালক সামসুল ইসলাম ও গৃহিণী হাওয়ার মেয়ে। রিকশাচালক সামসুল এর কোনো সম্পত্তি না থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করেন। বর দিনাজপুর এর পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি কুঠিপাড়ার বাসিন্দা মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে আবু ইসলাম। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন বর-কনের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হৃদয়ে সৈয়দপুর এর উপদেষ্টা ও লক্ষণপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল করিম রেজা, সমাজসেবক রবিউল আউয়াল রবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র ও সমাজসেবক মামুন অর রশিদ মামুন, শাকিল চৌধুরী, সংঠনের প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, জোবায়দুল ইসলাম সাগর ও সাধারণ সম্পাদক, রুবেল, উপজেলা ও যুগ্ম সম্পাদক সাবিকুন নাহার সালফিয়া, কমিটির সভাপতি এম মাসুদ পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিন সহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। রেখা বেগমের বাবা সামসুল ইসলাম তাঁর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এতে ধুমধামে মেয়ের বিয়ের আয়োজন হবে কল্পনাও করেনি। হৃদয়ে সৈয়দপুর সংগঠনটি আমার অসহায়ত্ব বুঝে পাশে না দাঁড়ানো মেয়ের বিয়ের আয়োজন করা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। তিনি হৃদয়ে সৈয়দপুর এর সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।
হৃদয়ে সৈয়দপুর এর প্রতিষ্ঠাতা সোহেল রানা বলেন, মূলতঃ সমাজের অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়ানো লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। গত ২০১৮ সাল থেকে আমরা সংগঠনের ব্যানারে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ অসহায় মানুষের সহায়তায় নানাবিধ কর্মসূচি করে আসছি। আগামীতেও আমাদের এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান।