গাজীপুর প্রতিনিধি - উত্তর বঙ্গগামী সকল যাএী অন্যান্য বারের তুলনায় সবচেয়ে কম সময়ের মধ্যে ভোগান্তিহীন আর স্বস্তিতে গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। রবিবার সকালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরের চন্দ্রা মোড় এলাকায়  সাংবাদিকদের সঙ্গে গাজীপুর পুলিশ সুপার আক্তারুজ্জামান বসুনিয়া  এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, প্রথম বারের মতো ঈদ যাএা নিরাপদ ও যানজট মুক্ত রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার ফোর্স চন্দ্রা এলাকায় নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করে। আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ সহ ট্রাফিক কার্যক্রমে জেলা পুলিশ পর্যাপ্ত সংখ্যক অফিসার ফোর্স মোতায়েন করে। এছাড়া ৫০ জন ছাএের একটি ভলেন্টিয়ার টিম সর্বক্ষণিক সহযোগিতা প্রদান করে। এবারের ঈদ যাএা সর্বোচ্চ স্বস্তিদায়ক, নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন হওয়ার পিছনে উল্লেখ যোগ্য হলো লিডার লিপ। নির্বিঘ্নে  ও নিরাপদে ঈদ যাএার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো চন্দ্রা মোড়ে  কিছু অসাধু চক্র নির্দিষ্ট কিছু পরিবহনকে সুযোগ-সুবিধা  দেয়া, যানবাহন থেকে চাঁদা দেয়, টিকেট প্রদানের নামে কারবারি,সার্ভিস রোড, বাস বেতে সিন্ডিকেট করে গাড়ি পার্কিং ও টিকেটিং এর ব্যবস্থা  ইত্যাদি অনিয়ম যা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা সহ সর্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখা হয়েছিল তার ফল যাতে কেউ কোন প্রকার অবৈধ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে বা দিতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি প্রফেশনাল টকিং ড্রোন ব্যবহার করে ট্রাফিক নির্দেশনা প্রদান  ও জনসচেতনতা তৈরি এবং চন্দ্রা কেন্দ্র করে চন্দ্রা নবীনগর, চন্দ্রা - গাজীপুর ও চন্দ্রা টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৩২ টি সিসিটিভি স্থাপনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক যানবাহনের গতিবিধি পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হতে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ঔষধ এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন ব্যতীত সকল প্রকার ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরী চলাচল বন্ধ রাখার নির্দেশনা থাকা সত্বেও অধিকাংশরা তা মেনে মহাসড়কে যান চলাচল অব্যাহত রেখেছিল। ফলে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়।  হাইওয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান,  গাজীপুর রিজিয়ন ভুক্ত মহাসড়কে ২৫ থেকে ২৯ ই মার্চ পর্যন্ত ১৫ টি দুর্ঘটনা ঘটে। যা নিহতের সংখ্যা ৮ জন, গুরুতর আহত ০৭ জন এবং সাধারণ আহত ২০ জন। তিনি নিহত যাএীদের প্রতি সমাবেদনা জানান।