1. sraban1982@gmail.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
  2. info@www.pollybarta24.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
জাতীয় আইন সহায়তা দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালী ও আলোচনা ভালুকায় বাংলাদেশ হিন্দু – বৌদ্ধ – খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট”র কর্মী সমাবেশ কাপাসিয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ওরিয়েন্টেশন  সুনামগঞ্জে হাওরে ধান কাটার যন্ত্র বিতরণ নিয়ে প্রতারণা  মোহনগঞ্জে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  বকশীগঞ্জে হজ্বে গমনেচ্ছুদের নিয়ে প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  পুঠিয়া রাজবাড়ি জাদুঘর ঘুরতে এসে হিট স্ট্রোকে এক নারীর মৃত্যু দৈনিক আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন সুনামগঞ্জের বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস  স্থাপনের ৬দফা দাবি কালিয়াকৈরে অন্তঃসত্ত্বা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

কাকের বাসায় কোকিলের ছাঁ

সুমন মাহমুদ শেখ নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি তার নির্বাচনী এলাকার ধর্ম-বর্ণ, দল-মত নির্বিশেষে সকল মানুষের প্রতিনিধি। এ কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু বাস্তবতা সবসময়ই এর বিপরীত। যখন যে দল সরকারে থাকে সে দলের অনুসারী ও নেতা-কর্মীরাই সবচেয়ে বেশী সুবিধা ভোগ করে। এটা আমাদের দেশের প্রচলিত একটি রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির অংশ।

এ কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
গত ১৬ বছর একাধারে দীর্ঘদিন একটি নির্দিষ্ট দল ক্ষমতায় আসীন থাকার কারণে ভিন্ন দলের জনপ্রতিনিধি খুব কমই নির্বাচিত হয়েছেন। বিগত বছরগুলোতে ভিন্ন দলের নেতা কর্মীদের বিভিন্ন অপকৌশলে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে তাদের নেতৃত্বকে প্রতিহত করা হতো। তাদেরকে জন বিচ্ছিন্ন করে রাখার জন্যে বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলায় জড়িয়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখা হয়েছে। এটাও দেশের চলমান অপরাজনীতির একটি ভয়াবহ অংশ।
এত কিছুর পরও যাদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও বিচক্ষণতায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এমন বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশেও নির্বাচিত হয়েছেন নিঃসন্দেহে তারা সৎ, যোগ্য ও বিচক্ষণ রাজনৈতিক কর্মী। শান্ত সাগরে সবাই সফল নাবিক হতে পারে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল সাগরে যে নাবিক সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে-ই মূলত শ্রেষ্ঠ নাবিক, দুঃসময়ের কান্ডারী। আমাদের দেশে এমন জননেতা বা জনপ্রতিনিধি খুবই বিরল। অথচ ওরাই সত্যিকারের জননেতা বা জনপ্রতিনিধি। যারা এমন জনবান্ধব জননেতা বা কান্ডারী আছেন তারাও আজকাল বসন্তের কোকিলদের অপকৌশলে মর্মাহত প্রায়। যা আমাদের সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মান ও জাতীয় রাজনীতির জন্যে খুবই নেতিবাচক ও দুঃখজনক! এমনটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়।
এসব বিরোধী দলীয় জনপ্রতিনিধিগণ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তেমন কোন মূল্যায়ীত হয়নি। তারা সবসময়ই তাদের ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শুধুমাত্র বিরোধী রাজনৈতিক মতের কারণে। এর অন্যতম কারণ হলো তখন সারাদেশেই প্রায় প্রতিটি পরিষদের নেতৃত্ব ছিল সরকারি দলের জনপ্রতিনিধিদের হাতে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণ অনেক সময় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হয়েছেন। উল্টো হয়রানির শিকারও হয়েছেন অনেকেই।
এমন বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ব্যক্তিগত বিচক্ষণতায় তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থেকে তাদের মনোবল ধরে রাখা, তাদের মানসিকতায় ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা ও দলীয় চেতনা উজ্জীবিত রাখা নিঃসন্দেহে একজন সৎ, যোগ্য ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের অধিকারী নেতার বৈশিষ্ট্য।
একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসাদি উদযাপন ও সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা তার দায়ীত্ব। ইচ্ছা না থাকলেও বয়কট করা বা কৌশলে এবয়েড করার সুযোগ ছিল না বললেই চলে। অনেক সময় ইচ্ছার বিরুদ্ধেও এসব প্রোগ্রামে যোগদান করতে হয়েছে। সে সময় পরিষদসহ চারিদিকেই ছিল সরকার দলীয় নেতৃবৃন্দ ও সরকারের প্রভাবশালী সচিব ও আমলাদের উপস্থিতি। সেখানে প্রায় প্রতিটি প্রোগ্রামেই ফটোশেসন হতো। তখন সেসব কর্মসূচীতে অংশ নেওয়া বিরোধী দলীয় প্রতিনিধিগণ শিশুর মতোই দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। অর্থাৎ এমন অসংখ্য আয়োজনে অংশগ্রহণের ফলে সরকার দলের নেতৃবৃন্দের সাথে তাদের ছবি রয়েছে। এটা অস্বাভাবিক নয়। “এ ছবিগুলোর তাৎপর্য আর তৎকালীন সময়ে সরকারি দলের
সুবিধাভোগীদের বিভিন্ন দলীয় ও সরকারি কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের ছবিগুলোর তাৎপর্য এক হতে পারে না।”
আজকে এমন অসংখ্য প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন যারা সেসময় সরকার দলীয় নেতাদের তোষামোদ ও লিঁয়াজো করে, অনেক ফায়দা নিয়েছেন। বড় বড় টিকাদারি কাজ, আত্মীয়ের চাকুরি,বদলি, বিভিন্ন ব্যাবসায় শেয়ারসহ এমন অনেক সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন উনারা দুধে ধোয়া তুলসি পাতা সেজে গেছেন! আমরা তৃতীয় দৃষ্টিতে নীরবে সবকিছু দেখি এবং দেখছি।
বসন্তের কোকিল, দুধের মাছি ও অনেক জ্ঞানী-গুণী বিড়াল তাপস দেখেছি যারা আসলে কাকের বাসায় কোকিলের ছাঁ। আজকাল এমন কিছু কোকিলই অপপ্রচার চালাচ্ছে বিগত দিনে যাদের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি তো দূরের কথা সামাজিকতায় এদের কোন নাম গন্ধ ছিল না। এ যেন অন্ধের নির্দেশনা। হয়তো এমন কোন পরিস্থিতিতেই কবি লিখেছিলেন – “সবকিছু আজ নষ্টদের দখলে…।”

এসব জননেতাদের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কিছু প্রতিপক্ষ কুচক্রীমহল সেসব ছবিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কথা-বার্তা প্রচার করে তাদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আসলে কার চরিত্র কেমন জনগণ তা জানে। সুতরাং সাধু সাবধান! কাকের বাসায় কোকিলের ছাঁউ, খুব বেশি দিন করবে না রাও।

সুমন মাহমুদ শেখ

কবি ও প্রাবন্ধিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮  
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট