1. sraban1982@gmail.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
  2. info@www.pollybarta24.com : পল্লী বার্তা ২৪ :
সোমবার, ০৫ মে ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
 সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর ইউএনও”র বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদে  সংবাদ সম্মেলন বিশ্বনবীকে কটুক্তির প্রতিবাদে নীলফামারীর ডোমারে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান কালিয়াকৈরে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আটক কালিয়াকৈরে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ  উদ্ধার  ভুয়া ছাত্র সমন্বয়ক আটক সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ  ফ্যাসিষ্ট দোসরদের  অপতৎপরতা  বিরুদ্ধে তরগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল  কাপাসিয়া বঙ্গতাজ ডিগ্রি কলেজে শিক্ষার মানোন্নয়নে মতবিনিময় সভা বকশীগঞ্জে অপসারণ করা হলো দশানী নদীর সেই বাধ কালিয়াকৈরে শ্রমিকদলের ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

শিয়ালজানি খালপাড় চুরি, ছিনতাই ও হিজড়াদের অভয়ারণ্য

সুমন মাহমুদ শেখ
  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

সুমন মাহমুদ শেখ-মোহনগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে চলা শিয়ালজানি খাল। যা শহর ঘেঁষে বয়ে চলে গরুহাট্টা হয়ে যুক্ত হয়েছে কংস নদের সাথে। একসময় এই শিয়ালজানি খাল জবরদখলের কবলে হারিয়ে যেতে বসেছিল প্রায়। গত কয়েক বছর আগে সরকারের সদিচ্ছায় বিলুপ্তপ্রায় এ খালটি উদ্ধার করা হয়েছে। শুধু উদ্ধারই নয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকারের পাইলট প্রকল্পের আওতায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে এটিকে খনন ও পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। খাল খনন করে উভয় তীরের ঢালু অংশ কংক্রিটের ব্লকদিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে করে ধ্বসে না পড়ে যায়। খালের মাঝামাঝি আল মবিন রোড বরাবর ও পরাগ মার্কেটের পেছনের দিকটায় একটি দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণ করেছে। এছাড়াও শিয়ালজানি খালের উপর আগের পুরোনো সেতুগুলো ভেঙে নতুনভাবে আরও উন্নত, মজবুত ও টেকসই সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। খালের দুই তীরে দামী টাইলস ফিটিং করে ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্যবর্ধনে কোটি কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ হয়েছে। খালের দুই তীরে র্যালিং দিয়ে ঘিরে দেওয়ায় সৌন্দর্য ও নিরাপত্তা দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। শিয়ালজানি খালের এমন দৃষ্টিনন্দন রূপ দেখে ভালো লাগতো সকলের। সকাল বিকাল জগিং করতে দেখা যেত অনেক লোকজনের। সন্ধ্যায় জ্বলে ওঠতো ল্যাম্প পোস্টের বাতিগুলো। সবমিলিয়ে শিয়ালজানি খালের দুই তীরে নয়নাভিরাম এক দৃশ্যের অবতারণা হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো- সাম্প্রতিক সময়ে দুই তীরের ল্যাম্প পোস্টের বাতিগুলো আর জ্বলছে না। সন্ধ্যার পরই নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। এ পথে এখন চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ। বখাটে, মাদকসেবি ও ছিনতাইকারীদের আনাগোনায় এখন সাধারণ মানুষ এ পথে যেতে ভয় পায়। সন্ধ্যার পর ভাসমান পতিতা ও হিজড়াদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়ে যায় পুরো লেকপাড় এলাকা। এমনকি বখাটেদের অবাধ আনাগোনায় এ পথে দিন দুপুরেও ভদ্র ঘরের মহিলারা হাঁটতে বিব্রতবোধ করেন। দুই তীরের র্যালিংগুলো চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। খালের দুই তীরে রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। যা দেখতে খুব বিশ্রী লাগে এবং পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে এসব দেখভাল করার কেউ নেই। অথচ পৌর কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ছিল বলেই আমরা জানি। মোহনগঞ্জ একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা। সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা তাদের দায়িত্ব। উন্নত নাগরিক সেবা পাওয়ার জন্যে পৌরবাসী ঠিকই বিভিন্ন নাগরিক কর দিয়ে বসবাস করছেন কিন্তু পাচ্ছে না ন্যূনতম নাগরিক সেবা। শুধু খালপাড় নয় শহরের বিভিন্ন জায়গায় যত্রতত্র ময়লা আবর্জনার স্তূপ ও দুর্গন্ধে মানুষ অতিষ্ঠ। যানজট আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। পৌর পরিষদ না থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সেবা পেতে হয়রানি ও অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। চারপাশ ও শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব শুধু কর্তৃপক্ষের নয় বরং প্রতিটি সচেতন নাগরিকের উচিৎ এসব বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করা। শুধু কর্তৃপক্ষ কিচ্ছু করতে পারবে না, যতদিন নিজেরা সচেতন না হবেন। সুতরাং রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে না ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলুন। ভাসমান পতিতা ও হিজড়াদের আনাগোনা শুধু লেকপাড়েই নয় বরং শহরের বিভিন্ন অলি গলিতেও বাড়ছে এদের অবাধ যাতায়াত। বিশেষ করে শহরের পাথর ঘাট, পাটপট্টি ও তুলাপট্টি এলাকায় এসব ভাসমান পতিতাদের আনাগোনা লক্ষনীয়। তুলাপট্টি থেকে পাটপট্টি হয়ে নদীর ঘাটে যাওয়ার জন্যে একটি সরু গলি ছিল। একসময় এ গলি দিয়ে লোকজন নদীর ঘাটে যেত। এখন তুলাপট্টি গলির মুখে গেট করে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এই আবদ্ধ ও অন্ধকার জায়গাটি পতিতা ও হিজড়াদের সুবিধাজনক স্থানে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া এ গলির ভেতরে অনেকের গোডাউন রয়েছে। গলির মুখে গেট বন্ধ করে দেওয়ায় এসব ব্যবসাসয়ীদের পণ্য আনা-নেওয়া করতে অনেক দূর হেঁটে ঘুরে আসতে হয়। তাছাড়া এ গলিটুকু সরকারি রাস্তা ও ড্রেন। এখানে ব্যক্তিগতভাবে কি করে ফটক লাগানো যায়? এ গেটটি খোলা থাকলে লোকজনের যাতায়াত থাকবে, তখন এসব পতিতা ও হিজড়াদের এতো সুবিধা হওয়ার কথা নয়। সুতরাং পৌর কর্তৃপক্ষ যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে পৌরবাসীর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা হোক।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট